শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

কালিয়াকৈরে মই’য়ে শত শত পথচারীদের যাতায়াত

কালিয়াকৈর প্রতিনিধি::

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের সাকাশ্বর এলাকায় একটি সংযোগ সড়ক না থাকায় গত দুই বছর ধরে মই দিয়ে বিভিন্ন বয়সের শত শত পথচারী যাতায়াত করছে। ফলে ওই সড়কে একমাত্র মই চলাচলের জন্য ভরসা হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সাকাশ্বর এলাকায় তুরাগ নদের ওপর গত কয়েক বছর ধরে নির্মাণাধীন রয়েছে একটি সেতু। সেতুটির পশ্চিম পাশের কাজ প্রায় শেষ। তবে পূর্ব পাশের অংশটিতে এখনো সড়কের সঙ্গে সংযোগ করা হয়নি। কিন্তু সেতুটির নির্মাণ কাজের জন্য সেতুর পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে লোহার মই। সংযোগ সড়ক না থাকায় ওই মই দিয়েই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ডে খালিশাবর্থা এলাকাসহ কয়েকটি এলাকার শতশত মানুষ তুরাগ নদ পার হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ওই মই বেয়ে সেতুর ওপর উঠছে এবং তুরাগ নদ পারাপার হচ্ছে। মই বেয়ে অনেকেই তুরাগ নদের এপার থেকে ওপারে বাজার করে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই হাতে বোঝা নিয়ে মই বেয়ে উঠা নামা করছে।

রুহুল আমীন নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ধীর গতিতে চলছে সাকাশ্বর এলাকায় তুরাগ নদের ওপর নির্মিত সেতুর কাজ। পাশেই রয়েছে খেয়া ঘাট। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার না হয়ে ঝুকি নিয়ে মই বেয়ে পারাপার হচ্ছে। মাটি থেকে লোহার মই বেয়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু সেতুর ওপর উঠতে হয়। পরে তুরাগ নদ পার হতে হচ্ছে মানুষকে। সোহেল নামে আরেক বাসিন্দা জানান, মানুষের চলাচলের জন্য তেমন কোনো রাস্তা নেই। সাকাশ্বর এলাকার সেতুটি হয়ে গেলে চলাচলের জন্য সুবিধা হতো। তবে সেতুর কাজটি ধীরগতি হওয়ায় মানুষ একটি লোহার মই বেয়ে সেতুতে উঠে নদ পারাপার হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেওয়া হচ্ছে ওই মই দিয়ে।

শিরিন আক্তার নামে এক নারী জানান, পাশে তুরাগ নদে খেয়া নৌকা থাকলেও অনেক সময় মাঝি থাকে না। এছাড়া নৌকা দিয়ে পার হতে টাকা ও সময় লাগে। আর মই বেয়ে ওঠা-নামা করতে তেমন সময় লাগে না। তবে ঝুঁকি নিয়ে মই দিয়ে ওঠা-নামা করতে হয়। সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এলাকাবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, সাকাশ্বর এলাকার ওই সেতু থেকে মাস্টারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত রাস্তার জন্য ৪০ ফুট প্রস্ত করে জায়গা নেওয়া হয়েছে। তবে কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন লোহার মই বেয়ে ব্রিজে উঠে তুরাগ নদ পারাপার হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই।

কালিয়াকৈর উপজেলা প্রকৌশলী সরকার সাজ্জাদ কবীর জানান, আমার উপজেলার এলাকায় হলেও কাজটি মুলত সদর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর করছে। উপজেলা প্রকৌশলীরা একাজটির সুপারভিশন করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com